আমারদেশ প্রতিদিন ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী বলেছেন, গণতন্ত্রকে হত্যার উদ্দেশ্যেই ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জনগণের ভোটাধিকার কেঁড়ে নেওয়া হয়েছে যার ফলে ভোটাধিকার হারানোর এক কলঙ্কিত অধ্যায়ের সূচনা ঘটে। তারই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন গুলোতে ভোটার অনুপস্থিতিতেও আওয়ামী প্রার্থীদের জয়জয়কার চলছে। এক কথায় বর্তমানে ভোটারবিহীন নির্বাচন ও দেশে গণতন্ত্রহীনতা একই সুঁতোয় গাঁথা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশে উন্নয়নের নামে দুর্নীতির পাহাড় সাজিয়েছেন। দেশের টাকা বিদেশ পাচার করে দলীয় নেতাকর্মী ও আমলারা বেগম পাড়া বানিয়েছেন। অথচ বাংলাদেশের মানুষ ক্ষুধার জ্বালা মিটাতে পারছেনা। দেশে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ অন্ন,বস্র,বাসস্থান সংকটে রয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার দেশের জনগণের প্রতি কোন মানবিক সহায়তা প্রদান করছেন না।করোনার মহামারিতে সরকারের নামমাত্র মানবিক সহায়তাও লুণ্ঠন হয়েছে। এভাবে জনগণের ট্যাক্সের টাকা পাচার হতে থাকলে বাংলাদেশ আবারো তলাবিহীব ঝুঁড়ির প্রতিচ্ছবির কাঁতারে দাঁড়াবে।
তিনি আরো বলেন, আফসোস আজ দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকারীরা জামিন পেয়ে যাচ্ছেন অথচ একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের স্ত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলছেনা।খালেদা জিয়ার ওপর প্রতিহিংসার আঘাত বয়ে যাচ্ছে। তিনি অবিলম্বে সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার করার দাবী জানান।
তিনি আজ ৩০ ডিসেম্বর বুধবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের “গণতন্ত্র হত্যা দিবসের এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
Leave a Reply